জুমার নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং এর বিশেষ ফযিলত রয়েছে। কুরআন ও হাদিসে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।
জুমার নামাজের কিছু ফযিলত হলো:
1. **গুনাহ মাফ হওয়া**: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করে, তার আগের জুমা থেকে এই জুমা পর্যন্ত ছোটখাটো গুনাহ মাফ হয়ে যায় (সহিহ মুসলিম)।
2. **বেহেশতের দরজা খোলা হয়**: জুমার দিন মসজিদে আগে পৌঁছানো এবং খুতবা শোনা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন যখন ইমাম মিম্বরে উঠে যান, তখন আসমানের দরজা খোলা হয় এবং ফেরেশতারা মুমিনদের জন্য দোয়া করেন (সহিহ বোখারি)।
3. **দোয়া কবুল হওয়ার সময়**: জুমার দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। এ সময়টি জুমার নামাজের পর থেকে আসর নামাজের আগে পর্যন্ত বলে ধারণা করা হয় (সহিহ মুসলিম)।
4. **জুমার নামাজের গুরুত্ব**: আল্লাহ তায়ালা কুরআনে জুমার নামাজের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনের নামাজের আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ত্বরিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।” (সূরা জুমু’আ, আয়াত ৯)।
জুমার নামাজের ফযিলত ও গুরুত্ব মুসলমানদের জন্য আল্লাহর বড় এক নিয়ামত। এটি পরিপূর্ণভাবে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।