পাকিস্তানের কোচ জেসন গিলেস্পি বলেছিলেন, ১৮৪ রানের পুঁজি নিয়েও তারা শেষ বল পর্যন্ত চেষ্টা চালাবেন। পাকিস্তানের বোলাররা সেই পরিকল্পনায় মরণপণ লড়াই করলেও, বাংলাদেশি ব্যাটারদের দৃঢ়তায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। ফলে হাসি মুখে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবানো ছাড়াও, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পাওয়ার পর, এই সিরিজ বাংলাদেশি ক্রিকেটের নতুন সাফল্য।
এটি বাংলাদেশের বিদেশে তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম, এবং ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সিরিজ জয়।
সিরিজের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৬টি সিরিজে খেললেও, কোন সিরিজ বা ম্যাচই জেতেনি। ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ১টি ড্র এবং বাকি ১২টি হেরেছে বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিন বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে খেলা শুরু করে, জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪৩ রান।
নতুন দিনের ৫ ওভার খেলে দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান ১৬ রান যোগ করেন। পরবর্তীতে, জাকির ও সাদমান যথাক্রমে আউট হন। মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫২ রানের জুটির পর, শান্ত আউট হলে বাংলাদেশ ১৫৩ রানে ৪ উইকেট হারায়।
শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ৩০ রান তুলে দলকে জয় এনে দেন।
এর আগে, পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ ১৮৫ রানের লক্ষ্য পায়। হাসান মাহমুদ প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন এবং নাহিদ রানার দ্রুতগতির বোলিংয়ে পাকিস্তান অলআউট হয়।