নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : দেশের মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থার অবকাঠামো ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা। তারা দাবি করেছেন, নতুন কারিকুলাম তৈরির সময় তাদের মতামত নেয়া হয়নি, অথচ তারা শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই কারিকুলাম বাস্তবায়নের ফলে তাদের অনেক সময়ই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডির গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজিত কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন সভায় এসব অভিযোগ জানানো হয়। সভায় হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহকে আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি এবং মো. সিকান্দার আলী খানকে সদস্য সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কমিটিতে মোট ১১৯ সদস্য রয়েছেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাসমাশিসের সাবেক মহাসচিব এমারত হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান পরিবর্তন শিক্ষকরা সম্মান ফিরে পাবেন এমন বিশ্বাস করছেন। কিন্তু নতুন কারিকুলাম শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবে। নতুন কারিকুলাম যদি অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হতে পারে।
এমারত হোসেন মিয়া শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, শিক্ষকদের প্রস্তাবনা লিখিতভাবে সরকারি অফিসে জমা দেয়া উচিত। তিনি উল্লেখ করেন যে, শিক্ষকদের সম্মান নিশ্চিত করা এবং তাদের বেতন স্কেল ও পদোন্নতির বিষয়গুলোও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
সভায় বক্তৃতা করেন আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল্লাহ। তিনি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। নতুন কারিকুলাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে শিক্ষকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।
আজিমপুর গার্লস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আজাদ রহমান বলেন, নতুন কারিকুলাম তৈরির সময় শিক্ষকরা অবহেলিত হয়েছেন। কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ত্রুটি রয়েছে এবং শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এই সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।