লিন্ডে বাংলাদেশ সম্প্রতি দেশে রেকর্ড পরিমাণ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করে শেয়ারবাজারে নতুন ইতিহাস গড়েছে। এই ঘোষণার ফলে শুধু লভ্যাংশের পরিমাণই নয়, বরং শেয়ারের দামও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি।
গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়, যার ফলে কোম্পানির শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।
বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে, কোম্পানিটি ৪১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে, যার মানে হচ্ছে প্রতি শেয়ারের জন্য ৪১০ টাকা নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। দেশে এত বিশাল পরিমাণ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ আগে কখনও দেওয়া হয়নি।
এছাড়া, কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ৪১৫ টাকা ৮ পয়সায় পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও বেড়ে ৬৩২ টাকা ৩৫ পয়সা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার দিন কোম্পানির শেয়ার মূল্য ২৩৪ টাকা ১০ পয়সা বা ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে যায়। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারের দাম ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি শেয়ার ৩৯০ টাকা ৪০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এক সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারের মোট বাজার মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯৪ কোটি ১২ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি ১ হাজার ৫৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ২০২২ সালের ৪২০ শতাংশ এবং ২০২১ সালের ৫৫০ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।
১৯৭৬ সালে তালিকাভুক্ত লিন্ডে বাংলাদেশের বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০টি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে, ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
লিন্ডে বাংলাদেশের পরে, গত সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল লিব্রা ইনফিউশন, যার শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া, দাম বেড়েছে ন্যাশনাল টি, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, লাভেলো আইসক্রিম, জিপিএইচ স্পাত, উসমানিয়া গ্লাস শিট এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের।