সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নাংলা ঘোনাপাড়া রহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপারে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচলিত জালিয়াতির অভিযোগ বাড়ছে। এই অপকর্মের পরিণামে বলা হচ্ছে, বারবার পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মাদরাসা সুপারে মোটামুটি প্রশাসনিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এই অপকর্মের প্রতি সাধারণ মাদরাসা সুপারের প্রতিষ্ঠানিকদের কর্মসংস্কারের অনেক উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই ক্ষেত্রে সামছুর রহমান নামের এক স্থানীয় একজন ব্যক্তি ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে বিশেষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এসব অপকর্মের পরিণামে মাদরাসা সুপারে কোনো বিশেষ কার্যক্রম নেওয়া হয়নি এবং শাস্তি দেওয়া হয়নি। বর্তমানে মাদরাসা সুপারে মোট ১২ শিক্ষক এবং তিনজন কর্মচারী বেতনভাতা প্রদান করা হচ্ছে। মাদরাসা সুপার প্রথমে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এমপিও হয় ২০২৩ সালে।
প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে অনেকগুলো তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত পরীক্ষার প্রস্তুতি করার পরিবেশে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এ প্রস্তুতি পর্যাপ্ত ছিল না। অভিযোগ করা হচ্ছে যে, অনেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ এমপিওর ছাড়ের জন্য নেয়া হয়েছে এবং একে অপরের সাথে মিলিয়ে এ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষার দিনে প্রথম দিনে অনেকে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে অনেকে অংশগ্রহণ করেননি। এ প্রস্তুতির সম্মিলিত সম্পন্নতা আবুল বাশারের সাথে জড়িত হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও, মাদরাসা সুপারের নির্দেশিত ব্যক্তিগণের সাথে সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি করতে নিজেদের কাজে লাগেনি এবং মাদরাসা সুপারের অনুসরণের নির্দেশিকা অনুযায়ী কর্ম করেনি। সাধারণ পরীক্ষার্থীদের সাথে মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধা প্রদানের বিপর্যায়ে এমপিওর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।