ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জেমি আক্তার (২২) নামে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর রোববার সকালে স্বামী মনিরকে গ্রেফতার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। মনির সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে।
শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেমি উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। তাদের সোহান (২) নামে একজন পুত্রসন্তানও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনির পেশায় একজন অটোশ্রমিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ আগে থেকেই ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ রান্না করছিল। এ সময় ছেলে সোহান কান্নাকাটি করলে স্বামী মনির হোসেন স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে এবং ঘরে নিয়ে লাথি, কিল, ঘুষি মারে ও গলায় চেপে ধরে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে জেমিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার গুরুতর হওয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে জেমি মারা যান।
নিহত জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, “গত ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। এবং সে চার মাসের গর্ভবতী। বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো। এর আগেও কয়েকবার গ্রামের মাতব্বর নিয়ে শালিস করে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। জেমিকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো মনির। আমার বোনকে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক মনিরকে নিজ বাড়িতেই বেঁধে রেখেছিলো। পরে আমরা থানায় খবর দিয়ে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছি। ঘাটাইল থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, “মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, “অভিযুক্ত স্বামী মনির এবং তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।”