শিক্ষাবাতায়ন ডেস্কঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন বেসরকারি স্কুল-কলেজে চুক্তির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ নিয়োগের সুযোগ স্থগিত করেছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা এমপিও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামোতে এমপিও না নেওয়ার জন্য সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। তবে, এ সুযোগের কার্যকারিতা স্থগিত করেছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
দেশের বহু স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষরা অবসরে গিয়েও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গতবছরের শেষ দিকে কয়েকটি প্রধান-শিক্ষক ও অধ্যক্ষের করা এ আবেদন বাতিল করে দিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ আবেদন বাতিলের পিছনে ছিল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১১.১১ অনুচ্ছেদে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রয়েছে। এ অনুচ্ছেদ অনুসারে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর।
তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বুঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত পাবেন। তবে ঐতিহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোন আর্থিক সুবিধা বা এমপিও না নেয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকার এর কোনো দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, নীতিমালা ১১.১১ অনুচ্ছেদের এ অংশটুকুর কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো।