ভারত বাংলাদেশের সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর লক্ষ্য নিয়ে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করে। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, যার ফলে ১০.১ ওভারেই তারা ১০০ রানের কোটা পার করে ফেলে। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে, তিনি বাংলাদেশের বোলারদের একদমই কোনো সুযোগ দিচ্ছিলেন না।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ১১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১১০ রান। জয়সওয়াল ৬৯ রানে অপরাজিত আছেন, আর তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা শুভমান গিল করেছেন ১৭ রান। ভারত এখনো বাংলাদেশের ২৩৩ রানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৬৭ রানে পিছিয়ে আছে।
এর আগে, বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে চতুর্থ ওভারেই রোহিত শর্মার ১১ বলে ২৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচলেও, পরের বলেই বোল্ড হন তিনি।
বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে। তবে খুব দ্রুতই মুশফিকুর রহিম ১১ রানে বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন। এরপর মুমিনুল হক এবং লিটন দাস মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। লিটন দাস ৩০ বল খেলে ১৩ রান করার পর মোহাম্মদ সিরাজের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দেন।
সাকিব আল হাসান শুরুতে অশ্বিনের বলে একটি চার মারলেও পরের বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাত্র ৯ রান করে আউট হন। অপর প্রান্তে টিকে থাকা মুমিনুল হক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক। ১৫ মাস পর তিনি তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেন এবং ১৯৪ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৪২ বলে ২০ রান করে বুমরাহর বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর দ্রুতই তাইজুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদও আউট হন। শেষ ব্যাটসম্যান খালেদ আহমেদ জাদেজার বলে আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস ২৩৩ রানে শেষ হয়।