তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি নন-আরএমজি খাতের রপ্তানিকারকরাও এখন সাব-কন্ট্রাক্ট বা উপ-চুক্তির মাধ্যমে অন্যান্য কারখানায় পণ্য উৎপাদন করতে পারবেন। বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। সময়মতো পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং রপ্তানি আদেশ বাড়ানোর জন্য সরকার এই সুবিধা প্রদান করেছে।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে এনবিআর উপ-চুক্তির শর্তগুলো শিথিল করেছে এবং আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ১৫টি নির্দেশনা প্রদান করেছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান এনবিআরের সঙ্গে আইনি বিরোধে জড়িত, তারা এখন সাব-কন্ট্রাক্টিং কাজের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টির বদলে শুধুমাত্র আন্ডারটেকিং বা ইন্ডেনচার (চুক্তিপত্র) দিয়ে কাজ করতে পারবে। এর আগে আইনি বিরোধে জড়িত থাকলে তাদেরকে ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করতে হতো।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে কন্ট্রাক্ট আইন ১৮৭২ অনুসারে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হতে হবে। উভয় পক্ষের হালনাগাদ নবায়িত ওয়্যারহাউস লাইসেন্স থাকতে হবে এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
এছাড়া, যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়্যারহাউস লাইসেন্স বা বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিন) স্থগিত রয়েছে, তারা উপ-চুক্তির অধীনে কাজ করতে পারবে না।
এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, জানান যে ২০২১ সাল থেকে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাব-কন্ট্রাক্টিং সুবিধা চালু করা হয়। তবে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই সুবিধা শুধুমাত্র পোশাক খাতের জন্য বহাল রেখে অন্যান্য খাতগুলোর জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এই সুযোগ প্রত্যাহারের ফলে অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানায় যে তাদের অর্ডার কমে গেছে, বিশেষ করে চামড়াশিল্পে রপ্তানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এনবিআরকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে এনবিআর এই সুবিধা অন্যান্য খাতেও প্রযোজ্য করেছে, যাতে তারা উপ-চুক্তির মাধ্যমে কাজ করতে পারে।