বাংলাদেশি পেসার নাহিদ রানা এখন ব্যাটারদের ভড়কে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার উপরে। গতিতে পরাস্ত হলেন ভারতীয় ওপেনার জশস্বী জয়সওয়াল, যিনি ১১৮ বল মোকাবিলা করে ৫৬ রানে সাজঘরে ফিরেন। নাহিদের ১৪৮ কিমি/ঘণ্টার গতির বলটি ঠিকমতো বুঝতে না পারায় প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলাম ক্যাচটি ধরেন।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে লোকেশ রাহুল (৫২ বলে ১৬) শিকার হন, শর্ট লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন জাকির হাসান। এই দুই উইকেটের পর বাংলাদেশ ভারতকে চেপে ধরেছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৯ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ৪ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১ রানে অপরাজিত আছেন।
হাসান মাহমুদ দুর্দান্ত বোলিং করতে থাকেন, প্রথম সেশনে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। লাঞ্চের পর তিনি আবারও আক্রমণ চালিয়ে রিশাভ পান্তকে আউট করেন। প্রথম ঘণ্টায় ভারত ছিল কোণঠাসা।
ভারত ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জয়সওয়াল ও পান্ত চতুর্থ উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন। লাঞ্চের সময় ভারতের রান ছিল ৮৮। লাঞ্চের পর হাসান মাহমুদ পান্তকে আউট করেন, ফলে ৩৯ রানে প্যান্ট ফিরে যান।
চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ৪ ওভারে ভারতের রান ছিল মাত্র ৮।
হাসান মাহমুদ রোহিত শর্মার প্যাডে একটি ডেলিভারি দিয়ে শিকার করার সম্ভাবনা তৈরি করেন, তবে রিভিউতে তা আম্পায়ার্স কল হয়ে যায়। কিন্তু রোহিত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এবং পরবর্তী ওভারে হাসানের সুইংয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
শুভমান গিলও শূন্য রানে ফিরেন এবং বিরাট কোহলিও ৬ রান করে ফিরে যান। এভাবে ৩৪ রানে ভারত তিনটি উইকেট হারায়,যার সবগুলোই হাসান মাহমুদের শিকার।