ঢাকাবুধবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কারিগরি
  3. ক্যাম্পাস
  4. খেলাধুলা
  5. জব কর্নার
  6. দেশ-বিদেশ
  7. প্রাথমিক
  8. বিনোদন
  9. বিবিধ
  10. বিশ্ব-বিদ্যালয়
  11. মতামত
  12. মাদ্রাসা
  13. মাধ্যমিক
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতীয় একতরফা বাঁধ নির্মাণ: আন্তঃসীমান্ত ৫৪ নদীর ৩৬টিতে ৫৪টি বাঁধে বাংলাদেশে পানির প্রবাহ সংকট

shikshabatayon
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ১:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তঃসীমান্ত নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক আইন থাকলেও ভারত বাংলাদেশে এসব আইন বেশিরভাগ সময় উপেক্ষা করে চলছে। বর্তমানে তারা আন্তঃসীমান্ত স্বীকৃত ৫৪ নদীর মধ্যে ৩৬টির ওপর ৫৪টি বাঁধ (ব্যারেজ) ও ড্যাম নির্মাণ করেছে। এই বাঁধগুলো ভাটি অঞ্চলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও সঠিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার গ্রিন রোডের পানি ভবনে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ শীর্ষক একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারের আয়োজন করেছে ২৯টি পরিবেশবাদী সংগঠন এবং এটি বিশ্ব নদী দিবস ২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার উজানে ভারত, নেপাল ও চীনের একতরফা নিয়ন্ত্রণ চলছে। বাঁধ নির্মাণ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি প্রবাহ এবং নাব্যতা শুষ্ক মৌসুমে ব্যাপকভাবে কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারত ১৮০টিরও বেশি বাঁধ নির্মাণ করেছে, এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে প্রায় ৩০টি বাঁধ ও ড্যাম রয়েছে। সিকিমের পর্বতশৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন তিস্তা নদীর ওপর ১০টিরও বেশি বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে, এবং বর্তমানে আরও ৫টি বাঁধ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা নদী রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন, এবং উল্লেখ করেন যে নদী রক্ষা বাংলাদেশের টিকে থাকার ও উন্নতির জন্য অপরিহার্য।

এই প্রেক্ষিতে আন্তঃসীমান্ত নদী রক্ষায় কয়েকটি সুপারিশ ও দাবি উত্থাপন করা হয়:

১. জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন পুনর্গঠন করা এবং আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২. বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তিটি সংশোধন করে নবায়নের উদ্যোগ নেওয়া, পাশাপাশি বাংলাদেশ অংশে প্রবাহিত পানির পরিমাণ জনগণের জন্য প্রকাশ করা।
৩. তিস্তা নদী নিয়ে কার্যকর চুক্তি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পানি কূটনীতিকে বাংলাদেশের কূটনীতির কেন্দ্রে রাখা।
৪. অবশিষ্ট আন্তঃসীমান্ত নদী চিহ্নিত করে তাদের স্বীকৃতি দাবি করা এবং আন্তর্জাতিক আদালতে নদী অধিকার আদায়ের জন্য জোরালো দাবি তোলা।

অন্যদিকে, আন্তঃসীমান্ত নদীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিল্প দূষণ প্রতিরোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পানি-পলি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও সুপারিশ করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা। সভাটি সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।