ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস এবং হোস্টেলে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি, মাদকসেবন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানো।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. অনুপম সাহা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ আরও কিছু নেতাকর্মী।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় একটি সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক ডা. জিম্মা হোসেনকে, এবং ডা. মো. বদর উদ্দীনকে সদস্যসচিব হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন জমা না হওয়া পর্যন্ত ২৮ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস এবং হোস্টেল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে রাখা হবে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ম-৫২ ব্যাচের ডা. অনুপম সাহা, ডা. মাশফিক আনোয়ার, ডা. মেহেদী হাসান শিমুল এবং ডা. অনুপম দত্ত অর্ঘ। এছাড়া ম-৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. মাহিদুল হক অয়ন ও ডা. জাহিদুল ইসলাম তুষারও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ম-৫৬ ব্যাচের মঞ্জুরুল হক রাজিব এবং ম-৪৭ ব্যাচের রাকিবুল হাসান রুকন, আলমগীর হোসেন, আশিক উদ্দিন, শিপন হাসান, সৈয়দ রায়হান আল আশরাফসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও বহিষ্কৃত হয়েছেন।
ম-৫৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান ফাল্গুন, অর্ণব সাহা, কামস আরেফিন, আসিফ রায়হান; ম-৫৯ ব্যাচের দিগন্ত সরকার, কুবের চক্রবর্তী, সিয়াম জাওয়াদ পুষণ; বিডিএস-৫ ব্যাচের ডা. সঞ্জীব সরকার বোনাস, ডা. সাইফুল ইসলাম; বিডিএস-৭ ব্যাচের মুনতাসুর রাতুল ও সানজিদ আহমেদ; বিডিএস-৮ ব্যাচের শাহরিয়ার ইফতেখার সৌমিক, আশিক মাহমুদ রিয়াদ এবং বিডিএস-১০ ব্যাচের আসিফ ইকবাল ও মেরাজ হোসেন বাঁধনও এই বহিষ্কার আদেশের আওতায় পড়েছেন।