ফেনীর সোনাগাজী থানা উপজেলার ভোর বাজার এলাকার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী জাফর উদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁর ১৪টি খামার এবং ৭৪টি ভাড়া খামারের সব মুরগি এবং ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার দিন রাত ৩টার পর থেকে পানির চাপ বাড়তে থাকে এবং মুহূর্তেই পুরো এলাকা ডুবে যায়। সেই সময় জীবন বাঁচানোই প্রধান হয়ে ওঠে, তাই সম্পদ রক্ষার সুযোগ মেলেনি। অনেক খামারির মতো তাঁরও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা সামলানোর জন্য সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য প্রয়োজন।
বন্যার ফলে ফেনীর খামারিরা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। তাদের ঘরবাড়ি এবং সম্পদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোম্পানির পাওনা ও ব্যাংকের ঋণ নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেড়েছে। প্রথমে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা হলেও এখন তাদের পুনরুদ্ধারের চিন্তা করা জরুরি।
ফেনী জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১ হাজার ৮২৭টি হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা।
৩ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী উপজেলায় দেখা যায়, বেশিরভাগ এলাকায় খামারগুলো পানির নিচে। কোথাও কোমর-এবং বুক পর্যন্ত পানি রয়েছে। অনেক জায়গায় সাঁতার কেটে যেতে হয়েছে। জাফর উদ্দিন জানান, তাঁর খামারের অফিস ঘরে কোমর-সমান পানি জমেছে এবং খামারগুলোতে পরিস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক।