শর্টগান, পিস্তল ও রিভলবারসহ লাইসেন্সধারী অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জমা দেওয়ার জন্য আগমন দেখা গেছে। সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যশোর জেলার আট থানাতেই অস্ত্র জমা দেওয়ার হিড়িক ছিল, তবে রাত ৯টা পর্যন্ত কতজন অস্ত্র জমা দিয়েছেন তা জেলা প্রশাসন জানাতে পারেনি।
যারা সরাসরি আসতে পারেননি, তারা প্রতিনিধির মাধ্যমে অস্ত্র জমা দিয়েছেন। কিছু আওয়ামী লীগ নেতার অস্ত্র লুট হয়ে যাওয়ায় এবং আত্মগোপনে থাকায় তারা অস্ত্র জমা দেননি বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে এবং অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া বেসামরিক নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগের লাইসেন্সগুলি বহাল থাকবে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার জানিয়েছেন, অস্ত্র ও গুলি থানায় জমা দিতে হবে। অথোরাইজড ডিলারের কাছে আগে জমা রাখলে থানায় কাগজপত্র জমা দিলেই হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে কতটি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি।
যশোর জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, জেলায় মোট এক হাজার ১৩৮ লাইসেন্সধারী রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি, বিএনপির নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ীও রয়েছেন। কিছু অস্ত্র জমা দেওয়ার পর লাইসেন্সধারীরা জানিয়েছেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে অস্ত্র জমা দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আবার লাইসেন্স নেবেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত ১০৪টি অস্ত্র জমা পড়েছে, জানিয়েছেন এসআই কাজী আবু জুবায়ের।