শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদকে সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অব্যাহতি কার্যকর থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল, যিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা গতকাল অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তারা আরও দাবি করেন যে, তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা হোক। শিক্ষার্থীদের এই দাবির ভিত্তিতে আজ একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসনের কাছে পাঠানো অভিযোগের তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত এই অব্যাহতি বহাল থাকবে।’
এর আগে, রোববার, শিক্ষার্থীরা বিভাগের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া, পরীক্ষার খাতায় অনৈতিক সুবিধা দেওয়া, নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ ইত্যাদি নানা অভিযোগ সম্বলিত পাঁচ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। সেই অভিযোগে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে চাকরিচ্যুত ও অপসারণের দাবি জানানোর পাশাপাশি, তদন্ত চলাকালীন সময়ে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ যেন কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেন—এমন দাবি জানিয়ে আরেকটি লিখিত অভিযোগপত্র বিভাগের সভাপতির কাছে জমা দেন শিক্ষার্থীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।