দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলা এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সরকার পতনের পর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো সচল হয়নি। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্তত ৪৫টিতে ভিসি, প্রোভিসি এবং ট্রেজারার নেই। শিক্ষকদের দেওয়া আলটিমেটাম সত্ত্বেও, নতুন কর্তৃপক্ষের অভাবে ক্লাস চালু হচ্ছে না। ইউজিসিতে নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর নিয়োগ পেয়েও যোগদান করতে পারছেন না, কারণ কিছু কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তাঁকে যোগদান করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশৃঙ্খলা বেড়ে গেছে।
জুনের শেষে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল-কলেজ চালু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো সেশনজট লেগে আছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ভাষ্যমতে, আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় সেশনজটে পড়েছেন তাঁরা। অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। তবে উচ্চমানের শিক্ষক ও গবেষকরা আছেন, যারা দলীয় সংস্কৃতির কারণে নিরবে কাজ করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা চলছে যা দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। স্কুল-কলেজে ক্লাস পুনরায় চালু করা উচিত।