ঢাকায়: বেসরকারি সংস্থা ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়ক ও অধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের প্রতি হেনস্থার ঘটনা বেড়ে গেছে। তিনি আশা করছেন যে, সরকার দ্রুত এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে।
ডয়েচে ভেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেন যে, আন্দোলন প্রথমে ছাত্রদের কোটা বিষয়ে ছিল, কিন্তু তা পরে সর্বসাধারণের আন্দোলনে পরিণত হয় এবং এতে দীর্ঘ মেয়াদী সরকারের পতন ঘটে। তবুও, শিক্ষকদের হেনস্থার ঘটনা থেমে নেই, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
শিক্ষকদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের প্রতিকার নিয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন দেখছেন না এবং অপেক্ষা করছেন। তার আশা, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরিয়ে আনবে। প্রধান সমস্যা হলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাব্যবস্থাকে সঠিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, যা এখনো সম্পন্ন হয়নি।
পুরানো পাঠ্যক্রমে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, পাঠ্যক্রম নিয়ে সবসময়ই জটিলতা রয়েছে এবং অনেক আন্দোলন হয়েছে। বারবার পাঠ্যক্রম পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পুরানো সরকারের পরিবর্তনের কারণে নতুন সরকার কিছু গ্রহণ না করা, এ ধরনের নীতি গ্রহণযোগ্য নয় এবং বাস্তবসম্মতও নয়। পরিবর্তনের কারণ ও প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমি সস্তাভাবে আগেরটা ঠিক, নতুনটা বাদ, নতুনটা ঠিক, আগেরটা বাদ- এই ধরনের আলোচনায় যেতে ইচ্ছুক না