ঢাকাবুধবার , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কারিগরি
  3. ক্যাম্পাস
  4. খেলাধুলা
  5. জব কর্নার
  6. দেশ-বিদেশ
  7. প্রাথমিক
  8. বিনোদন
  9. বিবিধ
  10. বিশ্ব-বিদ্যালয়
  11. মতামত
  12. মাদ্রাসা
  13. মাধ্যমিক
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্যোগ

shikshabatayon
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ সরকার সারা দেশে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা প্রদান করেছে। আগামী ৬০ দিন, অর্থাৎ দুই মাস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা এই বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এর ফলে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠা করে অপরাধীদের সাজা দিতে সক্ষম হবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতি প্রু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮-এর নির্দিষ্ট ধারার অধীনে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের এই আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।” তিনি দেশবাসীর সহযোগিতাও চেয়েছেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:

ধারা ৬৪: অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া।
ধারা ৬৫: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা।

ধারা ৮৩/৮৪: ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা।
ধারা ৯৫(২): নথিপত্র খোঁজার ক্ষমতা।
ধারা ১০০: ভুল বন্দির হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি।
ধারা ১০৫: সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা।
ধারা ১২৬: জামিনের নিষ্পত্তি।
ধারা ১২৭: বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ

এছাড়া, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা প্রদান করা সম্ভব, তবে কারাদণ্ড দুই বছরের বেশি হবে না।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হল, যা দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।