সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবারও ১২৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকার বহিরাগত ও স্থানীয়রা পোশাক কারখানায় হামলা চালিয়েছে এবং শ্রমিকদের বের করে দিয়েছে। এর ফলে গতকাল, ৪ সেপ্টেম্বর, ১৬৭টি কারখানা বন্ধ ছিল।
পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিএমইএ কার্যালয়ে বৈঠক করেছে। বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে বৃহস্পতিবার সকালে বেশিরভাগ কারখানা খুলে দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা সত্ত্বেও কিছু এলাকায় অশ্রমিকদের হামলা ও ভাঙচুরের কারণে পুনরায় বেশ কিছু কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে সকাল থেকে কারখানাগুলি চালু করা হয়েছিল, কিন্তু হামলা ও শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে দুপুরের আগেই এসব কারখানা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, হামলাকারীরা আসলে শ্রমিক নয় এবং পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় গুণ্ডাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার পেছনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উসকানির হাত রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন নেতার অভিযোগের কারণে এই সহিংসতা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজিএমইএ, গার্মেন্টস মালিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার আলোচনার পর, বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।