রাজধানী ঢাকা’র রামপুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত ভ্যানচালক মো. সাগরের (২৩) মরদেহ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থান থেকে সাগরের মরদেহ পুলিশ কর্তৃক উত্তোলিত হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. বাদশা আলম জানিয়েছেন, সাগর ১৯ জুলাই রামপুরার ডিআইটি রোডের বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সাগরের দাফন ২০ জুলাই খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে করা হয়। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় তার হত্যা সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাগরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে, ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সাগরের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার ভরা গ্রামে। তার বাবার নাম সাত্তার মিয়া, এবং তিনি রামপুরার মৌলভিরটেকে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।