ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪: শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তিনি বলেছেন, বর্তমান পাঠ্যক্রমের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে, যার কারণে আগামী বছর থেকে পুরোনো পাঠ্যপুস্তক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শনিবার ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক মাহমুদ বলেন, “দেশের ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টির বেশি এখন অভিভাবকহীন। প্রশাসনিক পদগুলো, যেমন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ শূন্য রয়েছে, এবং যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা একযোগে এই পদগুলো পূরণের চেষ্টা করছি।
“তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্ধর্ষ ঠিকাদারদের সৃষ্টি হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে। এর পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে দখলদারি ও বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে, যা শিক্ষকদের অপমানিত করছে এবং ছাত্রদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।অধ্যাপক মাহমুদ পুরোনো পাঠ্যপুস্তক ব্যবহারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি প্রদান করে বলেন, “বর্তমান শিক্ষাক্রম বিদেশি ধ্যানধারণা থেকে আনা হয়েছিল, যা আমাদের শিক্ষার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই আমরা পুরোনো পাঠ্যপুস্তকগুলো ফিরিয়ে আনছি, যাতে পরীক্ষার পদ্ধতি ও শিক্ষাক্রমের মান বজায় রাখা যায়।
“নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পুরোনো পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়াশোনা করবে এবং দশম শ্রেণিতে এসে বিভাগ নির্বাচন করবে। আমরা চেষ্টা করব, যাতে শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই তাদের শিক্ষার চলমান ধারা বজায় রাখতে পারে।”অধ্যাপক মাহমুদ আশা প্রকাশ করেছেন যে, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা শৃঙ্খলিত হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।