মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম সাত দিনে নতুন করে ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হলেও, ডেঙ্গু প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় এর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ২ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে মোট ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হলেও, গত মাসে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১০০ জনেরও বেশি। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার মূল কারণ হিসেবে তিনি সঠিক ও কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাবকে চিহ্নিত করেন।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকেই ডেঙ্গু মশার বিস্তার ঘটছে। হাসপাতালটিতে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড না থাকায় ডেঙ্গু রোগীদের সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ রোগীদের জন্য ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা জানান, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিকদের ব্যক্তিগত সচেতনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। ডেঙ্গু মশার সম্ভাব্য আবাসস্থল ধ্বংস করার বিষয়ে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।