সিরাজুল ইসলাম লালমনিরহাট।
লালমনিরহাট-১ আসনের হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা দেখে নৌকা প্রতিকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের কর্মী সমর্থকরা।
আজ শনিবার সকাল ৮ টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের হাটখোলায় নৌকা প্রতিকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলার গড্ডিমারী হাট খোলায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা প্রতিকি নৌকা হাটখোলার প্রবেশ দ্বারের কাছে টাঙ্গিয়ে রাখে জন সমর্থনের জন্য কিন্তু কয়েক দিন পর পাশেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের মামার বাড়িতে ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিস বানিয়ে প্রতিকি নৌকা বসানোর অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে নালিশ করে আতাউর রহমানের লোকজন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে কোনো অসঙ্গতি না পেয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি প্রিয় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা বলেন, নৌকা মার্কায় জনপ্রিয়তা দেখে এবং স্থাপিত নৌকা প্রতিকের পাশে প্রতিহিংসা বশত মামার বাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিস বানিয়ে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। নৌকা প্রতিক পুড়িয়ে ফেলার ঘোষণা দেয়। তারই ফলশ্রুতিতে আজ এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে দুস্কৃতিরা।
ওই এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন,নৌকা স্বাধীনতার মার্কা যারা নৌকা প্রতীককে পুড়িয়ে দিল তারা স্বাধীনতা বিরোধী আমি তাদের বিচার দাবি করছি।
একিই এলাকার হাসান বলেন, যারা দুষ্কৃতিকারী নৌকার জনপ্রিয়তা দেখে তারাই এসব কান্ড ঘটাচ্ছে। তাদের বাড়ির সামনেই নৌকা প্রতীক টাঙ্গানো হয়েছিল সেখানে অন্য কেউ আগুন দিলে তারা তো দেখতে পারতো। এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের মামাতো ভাই হাসেম আলী জানান,নৌকা প্রতিক যখন এখানে লাগানো হয় তখন আমরা নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা বাধা উপেক্ষা করেই লাগিয়েছে। তারাই পুরে দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন,নৌকা পুড়িয়ে দেয়ার কথা শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।যারা বাঙালি জাতির আবেগ নিয়ে খেলে তাদের বিচার দাবী করছি।