ঢাকামঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কারিগরি
  3. ক্যাম্পাস
  4. খেলাধুলা
  5. জব কর্নার
  6. দেশ-বিদেশ
  7. প্রাথমিক
  8. বিনোদন
  9. বিবিধ
  10. বিশ্ব-বিদ্যালয়
  11. মতামত
  12. মাদ্রাসা
  13. মাধ্যমিক
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খেলাপি ঋণ নতুন রেকর্ড ছুঁইলো: মোট পরিমাণ ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা

shikshabatayon
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪ ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায়। এটি মোট বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর আগে মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। ফলে, জুন প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।

এ পরিস্থিতির পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঋণ বিতরণে জালিয়াতির কারণে অনেক ঋণ ফেরত আসছে না। বর্তমান সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ঘরানার বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, যেসব ঋণ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে, সেসব গ্রাহকদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়েছে। বিএফআইইউ পাচারকারীদের স্থানীয় সম্পদ জব্দ এবং বিদেশি সংস্থার সহায়তায় অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করছে।

বিএফআইইউয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এস আলম, সামিট, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওরিয়ন, নাসা সহ বিভিন্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঋণের নামে বিশাল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন, যার হিসাব চলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এস আলম বিশ্বের ইতিহাসে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুটের ঘটনা হিসেবে উল্লেখযোগ্য। তার নামে থাকা সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। বর্তমানে এস আলম গ্রুপের সম্পদ কেনার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।