ঢাকাশনিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কারিগরি
  3. ক্যাম্পাস
  4. খেলাধুলা
  5. জব কর্নার
  6. দেশ-বিদেশ
  7. প্রাথমিক
  8. বিনোদন
  9. বিবিধ
  10. বিশ্ব-বিদ্যালয়
  11. মতামত
  12. মাদ্রাসা
  13. মাধ্যমিক
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টাংগাইলের কালিহাতিতে ভুয়া প্রধান শিক্ষক নিয়োগ,ফেঁসে গেলেন ডিজি প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

shikshabatayon
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ ২:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টাংগাইলের কালিহাতি উপজেলাস্থ মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয় সোলাকুড়াতে হযরত আলী নামে একজন ভুয়া প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত ১০ ফ্রেবয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের নিজস্ব কক্ষে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরিক্ষায় মুস্তাফা কবীর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কালিহাতি বোর্ড প্রতিনিধি ও মো: তোফাজ্জল হোসেন, প্রধান শিক্ষক সন্তোষ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। শিক্ষা বার্তা ও শিক্ষা বাতায়ন অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে, মোট ৯জন প্রার্থী প্রধান শিক্ষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন। তন্মধ্যে লিখিত পরিক্ষায় অংশ নেয় ৩জন প্রার্থী। প্রকৃত পক্ষে হযরত আলী ও জান্নাতারা এবং আব্দুস সমাদ নামে দুজন ভুয়া প্রার্থীর উপস্থিতে উক্ত পরিক্ষা নেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, আব্দুস সামাদ নামে ভুয়া প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার পূর্বেই পালিয়ে যায়। শিক্ষা বাতায়নের গোপন সূএে জানা যায় যে, অপর একজন ভুয়া প্রার্থী যাকে জান্নাতারা সাজানো হয়েছে তিনি আর কেউ নন তিনি ভুয়া নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর স্ত্রী হোসনেয়ারা, যিনি ঘাটাইল উপজেলার লোকের পাড়া ফাজিল মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের ইনডেক্সদারী সহকারী শিক্ষক। এ বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদে হযরত আলী জানান যে, তারা মোট তিনজন পরিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে একজন হরযত আলী অপর দুজন আব্দুস সামাদ ও জান্নাতারা। পক্ষান্তরে আব্দুস সামাদ এবং জান্নাতারা তাদের বক্তব্যে বলেন যে, তারা সঠিক নিয়মে বৃষ্টির দিনে আবেদন পএ জমা দেন। কিন্তু তাদেরকে ইন্টারভিউ কার্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়নি এবং তারা কোনো লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেননি। জান্নাতারার স্বামী জানান, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সরোয়ার আলম, তার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার শর্তে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুস দাবি করেন কিন্তু তিনি তা দিতে অসম্মতি জানান। এ ব্যাপারে জান্নাতারা তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল প্রকার অন্যায় ও অনিয়ম উল্লেখ করে গত ২৯/০৮/২০২৪ তারিখে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কালিহাতি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত নিয়োগ পরিক্ষায় সদস্য সচিব তথা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা বার্তা ও শিক্ষা বাতায়ন টিমের মাধ্যমে জানান যে, আমি বর্তমানে হুমকির মুখে জীবনযাপন করিতেছি। আমাকে প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত ও প্রান নাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে আসছে এক মহল। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, “নিজে শুয়ার জায়গা নাই অন্যকে শুয়ায়”। উক্ত ব্যক্তব্যের পেক্ষিতে এলাকাবাসী বলেন যে, প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর নিয়োগই অবৈধ, তাহলে তিনি আবার নিঃসাক্ষরে সদস্য সচিব হয়ে মোটা অংকের ঘুস নিয়ে অফিস সহায়ক, পরিছন্নতা কর্মি ও আয়া পদে নিয়োগ দেন কিভাবে? এ ব্যাপারে এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।