তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বানভাসি মানুষ ধীরে ধীরে ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনসহ বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির স্তর ৫১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে, রোববার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার প্রায় তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি তিনদিনের বন্যায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১১টি এবং আদিতমারী উপজেলার আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
তিস্তা চর এলাকার বাসিন্দা গোল বানু বলেন, “আমার তিন বিঘা জমির পাকা আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সামনে কীভাবে চলব, সেটা ভেবে দুশ্চিন্তায় আছি।”
তিস্তার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী উপ-প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে এখন পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে চলছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রাকিব হাওলাদার বলেন, বন্যা মোকাবিলায় জেলার জন্য ১৩ লাখ টাকা এবং ৯০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।