নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একযোগে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে এবং পুরোনো পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু থাকবে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে শিগগিরই এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, দেশের ৫০টিরও বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টিরও অধিক বর্তমানে অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ সহ অনেক প্রশাসনিক পদ শূন্য রয়েছে এবং এই পদগুলো পূরণের জন্য যোগ্য ব্যক্তির অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্টতা ও দুর্নীতির কারণে যোগ্য প্রার্থীরা দায়িত্ব নিতে ভয় পাচ্ছেন।
অধ্যাপক মাহমুদ জানান যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অবকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্ধর্ষ ঠিকাদারদের গড়ে তোলা হয়েছে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য উদ্বেগের বিষয়। এর পাশাপাশি, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য শিক্ষকরা প্রশাসনিক পদে নিয়োগ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, উপাচার্যসহ অন্যান্য প্রশাসনিক পদে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে শিগগিরই এসব পদ পূরণ করা সম্ভব হবে। ইউজিসির চেয়ারম্যানের পদও শূন্য রয়েছে এবং সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে।
বর্তমান শিক্ষাক্রম নিয়ে তিনি জানান, গত ২-৩ বছরে চালু হওয়া শিক্ষাক্রমের সাথে অভিভাবকদের মতামত অনুযায়ী, এটি দেশীয় চাহিদা পূরণে অক্ষম। তাই পুরোনো পাঠ্যপুস্তকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর জন্য পরবর্তীতে দরপত্র দেওয়া হবে, তবে পাঠ্যক্রমের মূল কাঠামো পরিবর্তন করা হবে না।
অধ্যাপক মাহমুদ আরো বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারি ও বিশৃঙ্খলার কারণে শিক্ষকদের অপমানিত হতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
পরিশেষে, নতুন বছরের বইয়ের ছাপার মান উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পাঠ্যপুস্তকের মান নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চালানো হবে।