ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যজনিত কারণে প্রতিটি বছর লাখ লাখ পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করতে আসেন। তবে, ভারত এমন কিছু স্থান রয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য নিষিদ্ধ স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো :
লাদাখের আকসাই চিন
লাদাখের আকসাই চিন অঞ্চল অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য জনপ্রিয়, কিন্তু এখানে প্রবেশের অনুমতি নেই। ভারতের দাবি, এই অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অংশের অন্তর্গত, তবে বাস্তবে এটি চীন-ভারত সীমান্তের এলএসি’র আওতাধীন। আকসাই চিন একটি শীতল মরুভূমি, যেখানে ভারতের সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
সিকিমের মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা
মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, সিকিমের ধর্মীয় কারণে পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ। ২০০১ সালে সিকিম সরকার উপাসনা স্থান আইন ১৯৯১-এর আওতায় এই শৃঙ্গের চূড়ায় আরোহণ নিষিদ্ধ করে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, পর্বতের চূড়ায় দেবতার বাস, তাই সেখানে আরোহণ করলে স্থানটি অপবিত্র হতে পারে।
লাদাখের স্টোক কাংড়ি
লাদাখের স্টোক কাংড়ি শৃঙ্গ ভারতের সর্বোচ্চ ট্রেকিং পয়েন্ট হলেও অতিরিক্ত পর্যটক ভিড়ের কারণে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এখানে আরোহণ নিষিদ্ধ। হেমিস ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত এই শৃঙ্গটিতে পর্যটকদের প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আন্দামান ও নিকোবরের ব্যারন দ্বীপপুঞ্জ
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ব্যারন দ্বীপ, ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অবস্থান হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ। ১৯৯১ সালে দ্বীপে বিস্ফোরণের ফলে পরিবেশ ও জনসংখ্যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পর্যটকরা নৌকা বা দূর থেকে দ্বীপটি দেখতে পারেন, তবে সেখানে পা রাখা নিষেধ।
সিকিমের চোলামু লেক
সিকিমের চোলামু লেক, বিশ্বের উচ্চতম হ্রদগুলির মধ্যে একটি, তিব্বত সীমান্ত থেকে কিছু কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শুধুমাত্র সেনাবাহিনী, সিকিম পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য লেকটিতে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সাধারণ পর্যটকদের জন্য এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।