ভোলায় গ্যাসের মজুত নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৫ দশমিক ১ নয়, ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানায়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বিশেষজ্ঞদেরও উপস্থিতি ছিল।
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গণমাধ্যমে ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুতের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি পুনরায় যাচাই করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ পরিমাণ গ্যাস থাকলে আমাদের গ্যাসের সংকট থাকতো না এবং আমদানির প্রয়োজনও হত না।
এ সময় তিনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেন, যার মধ্যে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমামও ছিলেন।
বাপেক্সের একজন কর্মকর্তা জানান, ভোলায় তিনটি গ্যাসক্ষেত্র—শাহবাজপুর, ভোলা ও ইলিশায় মোট ২ দশমিক ০৪৭ টিসিএফ (উত্তোলনযোগ্য ১.৪৩২ টিসিএফ) গ্যাস মজুত রয়েছে এবং এখানকার ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিসমিক ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ১০ শতাংশ সম্ভাব্যতা হিসেবে ২ দশমিক ৬৮৬ টিসিএফ এবং শাহবাজপুর, ভোলা ও ইলিশা এলাকার নতুন জোনে ২ দশমিক ৪২৩ টিসিএফ গ্যাস থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এসব তথ্য প্রমাণিত মজুত হিসেবে গণ্য নয়।
ম. তামিম বলেন, গ্যাসের মজুত নির্ণয়ের জন্য প্রথমে সিসমিক সার্ভে করা হয়, পরে ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত মজুত নিশ্চিত করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, এই ঘোষণা মিস লিডিং হতে পারে।
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ৫ টিসিএফ গ্যাসের তথ্য সঠিক নয়, এটি সম্ভবত রিসোর্স, কিন্তু মজুত নয়।
পরবর্তীতে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, সেখানে সিসমিক সার্ভে ও ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু করা হবে এবং চারটি কূপ খননের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশের গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে আরও ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।