শেরপুরে দুই দিনের টানা বর্ষণের ফলে এবং ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি এবং নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠে গেছে, যা স্থানীয়দের জন্য বড় সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
৩ অক্টোবর মধ্যরাতে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ঢলের পানি ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরে প্রবেশ করেছে, যার ফলে প্রধান সড়ক, বাজারের অলিগলি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে গেছে। রাতের বৃষ্টির ফলে নিম্নাঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে, এবং বর্তমানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদী-নালার পানি বাড়তে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর দুইপাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে যদি পানি বাড়তে থাকে।
অন্যদিকে, শ্রীবরদীর সীমান্তবর্তী ভারত থেকে আসা সোমেশ্বরী নদীর পানিও বাড়ছে। এর ফলে শত শত পুকুর, সবজি ক্ষেত এবং ধানের খেত পানিতে ডুবে গেছে। স্থানীয়দের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হচ্ছে যে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে তাদের জীবনে চরম বিপর্যয় আসতে পারে।
শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে এবং মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে, তবে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মেরামত কাজ দ্রুত শুরু করা হবে, যাতে পরিস্থিতি সামলানো যায়।