ঢাকাসোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কারিগরি
  3. ক্যাম্পাস
  4. খেলাধুলা
  5. জব কর্নার
  6. দেশ-বিদেশ
  7. প্রাথমিক
  8. বিনোদন
  9. বিবিধ
  10. বিশ্ব-বিদ্যালয়
  11. মতামত
  12. মাদ্রাসা
  13. মাধ্যমিক
  14. শিক্ষা
  15. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সড়কে নিয়ম ভাঙার মহোৎসব, ট্রাফিক পুলিশের কার্যকরী নজরদারি কার্যত অনুপস্থিত

shikshabatayon
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

৫ সেপ্টেম্বর দুপুর দুইটায় ঢাকা শহরের মেরুল বাড্ডা ইউলুপ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গাড়ি স্থির অবস্থায় থাকলেও, দুই মিনিটের জন্য গাড়ি চলার পর রাস্তা সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে যায়। মূলত এখানে কোনো প্রকৃত যানজট ছিল না; বরং পাবলিক বাস ও ব্যাটারিচালিত রিকশার মধ্যে বিবাদ চলছিল। বাসগুলো যেখানে-সেখানে থামাচ্ছিল এবং রিকশাগুলো রাস্তার মাঝ দিয়ে চলছিল, ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল।

এই সময়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছিলেন না। বাইকার ও রিকশাচালকরা নিজেদের মতো গাড়ি চালাচ্ছিল, যা যানজটের অবস্থা আরও খারাপ করছিল। পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ করছেন যে তারা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন এবং তাদের দ্বারা যানজট নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা যেমন আসাদগেট, মহাখালী, শাহবাগ, গুলিস্তান ও প্রগতি সরণিতে দিনের এবং রাতের বেলায় প্রায় সব সময়ই যানজট লেগে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, প্রগতি সরণির নতুনবাজার থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত পৌঁছতে প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে, অথচ এটি সাধারণত ১০ মিনিটের পথ। রাত ১১টার পরও যানজট কমছে না, যা নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পুলিশের বিরুদ্ধে চাপ বেড়ে গেছে। ছয় দিন ধরে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে ছিল না এবং শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছিল। পুলিশ ফিরে আসলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হয়নি, যার ফলে নগরবাসী প্রতিদিন যানজটে ভুগছেন।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মতে, সড়কে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে এবং অনেকেই তাদের বুলিং করছে। যত্রতত্র পার্কিং, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, সিগন্যাল অমান্য করা ইত্যাদি কারণে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সময় মানুষ নিয়ম মানছিল, কিন্তু এখন সেই ভয় কমে গেছে।

চট্টগ্রামে ২৭ আগস্ট ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের একটি ঘটনা ঘটেছে, যা পুলিশের প্রতি বিরূপ মনোভাবের লক্ষণ। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা না থাকার অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকায় অভিজ্ঞ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বদলি করা হয়েছে, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এখনও পুরোনো সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে যানজটের কারণ অনুসন্ধান চলছে।

অটোরিকশার কারণে যানজট বেড়ে যাচ্ছে, যেমন রামপুরা বাজার ও পল্টন মোড়ে। গুলশান-বনানীতে বাইরের রিকশার আগমনও সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ট্রাফিক পুলিশ কম মামলা দিচ্ছে, যা চালকদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। পুলিশ সদস্যরা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন এবং মামলা দিতে গেলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

ঢাকার সড়কে ভারী যানবাহনের প্রবাহও একটি বড় সমস্যা। রাতে ভারী যানবাহন প্রবেশের নিয়ম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই এসব যানবাহন চলাচল করছে, যা যানজট বাড়াচ্ছে।

ফুটপাতে বাইক ও সাইকেল চলাচল বেড়ে গেছে এবং পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। খাবার ডেলিভারিম্যানরা নিয়ম মানছেন না এবং ফুটপাতে সাইকেল চালাচ্ছেন।

ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, সমস্যার সমাধানে সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং ট্রাফিক আইনের মান্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ডিএমপি কমিশনার মন্তব্য করেন যে সড়ক যানজটের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী উদ্যোগ এবং নগরবাসীর সহযোগিতা অপরিহার্য।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।